ফিশিং স্ক্যাম কী?
সন্দেহজনক মেসেজ, কল অথবা বিজ্ঞাপণ যা দ্বারা প্রতারণা করে অর্থ এবং ব্যক্তিগত তথ্য ইত্যাদি আত্মসাৎ করা হয়।
এটি ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন কল বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে সাধারণত করা হয়ে থাকে।
প্রতারকেরা এই পদ্ধতিতে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, সংস্থা বা ওয়েবসাইট সেজে মানুষের কাছ থেকে তথ্য বা অর্থ চুরি করে।
এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্থ কিংবা তথ্য আদায় করে। যেমনঃ
● জাল বিল বা অর্থ লেনদেনের মেসেজ তৈরি করে অর্থ আদায় করে নেয়।
● ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বা এমএফএসের নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড নম্বর প্রকাশ করার জন্য (এগুলো ‘ফিশিং’ হিসেবে পরিচিত। নিজেদেরকে বৈধ হিসেবে প্রমাণ করতে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক এবং ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ব্র্যান্ডিং ও লোগোকে হুবহু কপি করতে পারে)
কোন মাধ্যমগুলো আক্রমণকারীরা ব্যবহার করে?
ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন কল, টেক্সট মেসেজ ইত্যাদি।
ফিশিং স্ক্যামগুলো শুধুমাত্র মেসেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । সেগুলো বিভিন্ন ভাবে বেড়েই চলছে এবং এগুলো চিহ্নিত করা বেশ কঠিনও। লটারী থেকে অর্থ প্রাপ্তির আশা, চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, কম খরচে পণ্য সরবরাহ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক কার্যকলাপ, এবং লগইন যাচাই করার অনুরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।
কারা সাধারণত ফিশিং এর শিকার হয়?
সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী।
স্ক্যাম মেসেজগুলো হাজার হাজার লোকের কাছে অথবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে পাঠানো হয়।
যেভাবেই হোক, অপরাধীরা ব্যবসায়ীদেরকে প্রতারিত করার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে।
তারা নিচে বর্ণিত উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারে-
● কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে কেউ অর্থ দাবি করতে পারে
● কেউ আপনাকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় পণ্য বা অর্থ অফার করতে পারে এবং তা পেতে খুব দ্রুত আপনাকে কোনো তথ্য দিতে হবে বা টাকা পাঠাতে হবে এমনটা দাবি করতে পারে
● আপনি কি উদ্বিগ্ন, উৎফুল্ল কিংবা উদ্বুদ্ধ অনুভব করছেন যখন কলে কথা বলছেন/মেসেজ দেখছেন? আপনাকে আপনার বা আপনার কোনো প্রিয়জনের ব্যাপারে সম্ভাব্য বিপদের কথা বলে বা কোনো লোভনীয় অফারের কথা বলে প্রভাবিত করতে পারে
● মেসেজ কিংবা কলে আপনাকে লোভনীয় কিংবা সীমিত সুযোগ প্রদানের কথা বলতে পারে
● সাম্প্রতিক কোন ঘটনাবলী এর কথা কি মেসেজ কিংবা কলে উল্লেখ করে থাকতে পারে
ফিশিং এর বিরুদ্ধে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?
● আপনার কাছে সন্দেহজনক কোন মেসেজ,কল বা ইমেইল আসলে আগে নিশ্চিত হোন। তাড়াহুড়ো করবেন না। তাদের কথা সঠিক কিনা টা জানার জন্য বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে খোঁজ নিন। প্রয়োজন হলে আপনার পরিচিত ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করুন।
● প্রয়োজনে যে কোম্পানি থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করুন বা তাদের সরবরাহকৃত ফোন নম্বরে ফোন করুন। আপনার সাথে যারা যোগাযোগ করেছে, কোনভাবেই তাদের দেওয়া নম্বর ব্যবহার করবেন না কারণ ওগুলোও প্রতারণামূলক হতে পারে।
● আপনাকে পাঠানো লিংকে না বুঝেই ক্লিক করবেন না। ব্যাক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য শেয়ার করবেন না।কারণ এগুলো প্রতারণামূলক হতে পারে।
● ফিশিং হচ্ছে বুঝতে পারলে এই ধরণের ফোন কল বা মেসেজগুলো এভয়েড করুন।
● কোন ধরণের অর্থ লেনদেনের পরে নিশ্চিত করে নিন লেনদেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না।